শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে এনটিআরসিএর তৎপরতা
দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অসংখ্য শিক্ষক পদ শূন্য থাকার পরেও দীর্ঘদিন ধরে কোন নিয়োগ হচ্ছে না। নিবন্ধিত প্রার্থীরা হতাশায় দিন পার করছেন। অপরদিকে করোনা পরবর্তী সময়ে পিছিয়ে পরা শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষক নিয়োগ জরুরি বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন নিবন্ধিত প্রার্থীরা। গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনশন যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তারা।
এ পরিস্থিতিতে এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে তৎপরতা শুরু হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে আদালতের আদেশ-নিষেধাজ্ঞা আছে। সে বিষয়গুলো জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল ও লেজিসলেটরের মতামত চাওয়া হয়েছে। মতামত পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষক পদে নিয়োগের সুযোগ পেতে ১৩তম নিবন্ধনধারীরা রিট মামলা করেছিলেন। রিটকার ২ হাজার প্রার্থীকে আবেদনের সুযোগ দিতে আদালতের নির্দেশনাও আছে। এছাড়া শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে আরও কিছু বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা আছে। কিছু হাইকোর্টের একটি আদেশ রিভিউয়ে এনটিআরসিএর পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনও করা হয়েছে। কিন্তু এ পরিস্থিতে ভার্চুয়াল কোর্ট চলমান থাকায় রিভিউ আবেদনগুলো শুনানি হচ্ছেনা। করোনা পরিস্থিতিতে সরাসরি কোর্ট কবে বসবে তা নিয়েও আছে অনিশ্চিয়তা। এ পরিস্থিতিতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে কি করার আছে তা ভাবছেন এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা।
যদিও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিকে সরব প্রার্থীরা। তারা এর আগেও রাজপথে নেমে শিক্ষক পদে নিয়োগে আবেদনের সুযোগ চেয়েছে। এ পর্যায়ে তারা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে অনশনের হুমকি দিচ্ছেন। তাদের দাবি, অনেকের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হয়ে যাচ্ছে। তাই, গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দেরি হলে তারা আবেদনের সুযোগ পাবেন না। তাই দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবেদনের সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ পরিস্থিতে এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা শিক্ষাডটকমকে জানান, গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে সার্বিক প্রেক্ষপট তুলে ধরে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এবং লেজিসলেটরের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আদালতের আদেশ ও নির্দেশগুলোর বিষয়েও জানানো হয়েছে। দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে কি করা যায় সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনায় সে বিষয়গুলো জানানো হয়েছে।
এভাবে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে রিট করে আদালতের নির্দেশে যারা আবেদনের সুযোগ পেয়েছিলেন তারা কি আবেদনের সুযোগ পাবেন কিনা জানতে চাইলে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা শিক্ষাডটকমকে জানান, আমরা কারো পক্ষ বা বিপক্ষে মতামত চাইনি। সার্বিকভাবে আদালতের নির্দেশনাগুলো উল্লেখ করে সম্পূর্ন বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। এ বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও লেসিসলেটর যে মতামত দিবেন, সেভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
কর্মকর্তাদের দাবি, এ মুহুর্তে দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চেষ্টা করছে এনটিআরসিএ। তবে, এ মুহুর্তে আপিল আবেদন নিষ্পত্তি বা অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে মতামত না আসা পর্যন্ত কিছুই করার নেই বলেও জানান তারা।
- 10Shares
10