নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম : গ্রেফতার প্রভাষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ

নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম : গ্রেফতার প্রভাষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ পটুয়াখালীতে উপ-খাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের দায়ে গ্রেপ্তার প্রভাষকের বিরুদ্ধে ঘটনার চার দিনেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। কবে নাগাদ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাও সঠিক করে কিছু বলতে পারছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে পটুয়াখালীতে উপ-খাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে শিমু আক্তার নামের ওই পরীক্ষার্থীর কাছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া যায়। পরে শিমু আক্তারের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গলাচিপা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক কাওছারুল আলমসহ আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারাও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দেওয়ায় গত শুক্রবার রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের ছয়জনের নামে মামলা করে। পরদিন শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে প্রভাষক কাওছারুল আলমসহ অন্যদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। শুক্র থেকে সোমবার ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেলেও প্রভাষক কাওছারুল আলমের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে গলাচিপা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ফোরকান কবির বলেন, কাওছারুল আলম ২০১৪ সালে এ কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তার গ্রেপ্তারের ঘটনাটি কলেজ কর্তৃপক্ষ জেনেছে এবং বিষয়টি নিয়ে কলেজের সভাপতি ও ইউএনওর সঙ্গে কথা হয়েছে। অধ্যক্ষ জানান, তারা আইনগত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছেন এবং বিধি অনুযায়ী কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজের সভাপতি আশিষ কুমার জানান, গ্রেপ্তার প্রভাষক কাওছারুল আলমের বিরুদ্ধে খুব শিগগির আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে আইনের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে পটুয়াখালীতে উপ-খাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ছয়জন গ্রেপ্তার হন। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- মাকসুদুর রহমান (৩০), রাসেল হোসেন (৩০), কাওছারুল আলম (৩০), জহিরুল ইসলাম (৩১), অলিউল ইসলাম (৩২) ও শিমু আক্তার (৩১)।
Comments are closed.